সৈয়দপুর উপজেলা হতে শত শত দক্ষ কারিগর ও তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এটি 1863 সালে বিখ্যাত 'চিনি মসজিদ' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময়ে, ২43টি শংকর কলকাতা থেকে আনা হয়েছিল এবং তা দিয়ে মসজিদটি সাজান হয়েছিল। মসজিদের পুরো অংশটি সম্পূর্ণ সাজানোর জন্য বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরী ২5 মেট্রিক টন চীনামাটি টুকরা দান করেন। এই পাথরেই মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। নির্মাণ করা হয় উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে । দেয়াল জুড়ে চীনামাটির পাথরে আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা। স্থানীয়ভাবে জানাযায়, মসজিদের পুরো অংশ চীনামাটি দিয়ে তৈরি বলে এর নাম হয় ‘চিনিমসজিদ’ ।
মসজিদকে ঘিরে আছে নানা কাহিনী। এর অনন্য নকশা আর স্থাপত্য শৈলীর কারণে এটি আকৃষ্ট করেছে শিল্প বা স্থাপত্য সমঝদারদেরকেও। মসজিদটি নিছক উপাসনালয়ই নয়, নয়নাভিরাম স্থাপত্য শৈলীর এই মসজিদটি যেমন দেশি- বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনি ধর্মানুরাগী মুসলমানদের মনেও মসজিদের আবহ সঞ্চার করে এক দারুণ আধ্যাত্বিক অনুভূতি। দৃষ্টিমনোহর ও ঐতিহ্যমণ্ডিত মসজিদটির দ্বিতীয় তলায় পর্যটকদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক, প্রথিতযশা ব্যক্তি চিনি মসজিদ দেখতে আসেন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস